ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মাদরাসা পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৬) গৃহকর্মীর কাজ দেয়ার কথা বলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিলেন এক দম্পতি। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৮ নভেম্বর বুধবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, নিজের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো হয়েছিল। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকরী গ্রামের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করি।
গ্রেফতাররা হলেন, আ. বারেক মীর (৫১) ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন (৩৫)। তারা হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকরী গ্রামের বাসিন্দা। নিজের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে এনে কিশোরীকে জোর করে পতিতাবৃত্তি করাতেন এই দম্পতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাদরাসা ছাত্রী ওই কিশোরীকে বাবা-মা অভাবের তাড়নায় হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকরী গ্রামের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন। তিন হাজার টাকা বেতনে চলতি বছরের ৫ মে কাজে যোগ দেয় ওই কিশোরী। কাজে যাওয়ার দুই দিন পর থেকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পরিবারটি।
১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরীর বাবা জানতে পারেন তার মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করাচ্ছেন আ. বারেক মীর ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ধোবাউড়া থানায় গিয়ে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থানার যৌথ অভিযানে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় দুজনকে।
ভিকটিম জানায়, কাজে নেয়ার দুদিন পর থেকে তাকে আটকে রেখে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আ. বারেক মীর। এছাড়াও বহিরাগত লোক দিয়ে ভয়ভীতি, জবরদস্তি ও প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করেছে আ. বারেক মীর ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন।
এ বিষয়ে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে কিশোরীর পরিবার। গ্রেফতার স্বামী-স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বৃদ্ধের হাতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ
ভয়েস টিভি/এসএফ
