মা রোজিনা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্কে তার ছেলে পারভেজ জেনে যাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাকে হত্যা করিয়েছেন। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্চে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস পারভেজ হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, মায়ের প্রেমিক এমদাদুল হক (৩৮), মা রোজিনা আক্তার (৩০), ভাড়াটে হত্যাকারী মো. গনি (৪৫), সুলতান উদ্দিন (৪০) এবং রুহুল আমিন (৫৮)।
১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. ফজলে রাব্বি এ হত্যার রহস্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, রোজিনা আক্তারের পরকীয়া তার ছেলে পারভেজ জেনে ফেলায় ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে মা রোজিনা ও তার প্রেমিক এমদাদুল। পরবর্তিতে পরিকল্পনা মোতাবেক অন্যান্য আসামিদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে তাদের সহায়তায় পারভেজকে হত্যা করে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দেয়া হয়।
তিনি জানান, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর উত্তরপাড়া এলাকার মঞ্জুরুল হক (৩৬) মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩০) বাড়িতেই থাকতেন।
একপর্যায়ে একই এলাকার এমদাদুল হকের সঙ্গে রোজিনা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। হঠাৎ রোজিনার পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যায় তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া বড় ছেলে পারভেজ মিয়া (১৫)। আর এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে ছেলেকে হত্যার পর মরদেহ ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দেয় ঘাতক মা ও তার প্রেমিক।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ অক্টোবর ঈশ্বরগঞ্জের ওই এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে পারভেজ মিয়া নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি জানার পর তৎক্ষণিক র্যাব-১৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, পারিপার্শ্বিকতা বিচার ও নিহতের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে দুই দিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য উন্মোচন করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতদের ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
ভয়েস টিভি/এসএফ