Home সারাদেশ পলো দিয়ে মাছ শিকারে নাটোরের সহস্রাধিক মানুষ

পলো দিয়ে মাছ শিকারে নাটোরের সহস্রাধিক মানুষ

by Newsroom
পলো দিয়ে

পলো দিয়ে দল বেঁধে বিলে মাছ ধরা উৎসব নাটোর জেলার প্রাচীন ঐতিহ্য। কিন্তু খালে বিলে পানি না থাকায় সে উৎসবে অনেকাংশেই ভাটা পড়েছে। তারপরেও নাটোরের বিভিন্ন বিলে এ উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায় স্থানীয়দের।

৫ ডিসেম্বর শনিবার সকালে এমনই দৃশ্য দেখা যায় সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের কানুছগাড়ি বিলে।

উপজেলার ছাতনী , কেশবপুর, বাসুদেবপুর, তেলকুপি, বারঘরিয়া, পন্ডিতগ্রাম, পাইকেরদৌল, জাঠিয়ান বাগাতিপাড়া এবং লালপুর থেকে এসে সহস্রাধিক মানুষ মেতে উঠেন পলো বা বাউৎ মাছ ধরা উৎসবে। হেমন্তের মিষ্টি রোদেলা পরিবেশে জমে ওঠা এই উৎসব দেখতে বিলের চারপাশে জড়ো হয় নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, যুবা-বৃদ্ধাসহ সব বয়সী মানুষ।

তলাবিহীন কলসির মতো দেখতে, বাঁশ-বেতের তৈরি শৈল্পিক কারুকার্যময়, আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বা আকৃতির গোলাকার খাঁচা সদৃশ পলো দিয়ে দলবেঁধে গোটা বিলে তাড়িয়ে তাড়িয়ে দারুন ছন্দে মাছ শিকার পলো উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। উৎসেব দেশী প্রজাতির ছোটবড় নানা মাছ পেয়ে সবাই আনন্দিত।

আবার কারো কারো ভাগ্যে জোটেনি একটি ছোট মাছও । তবেু সবার সঙ্গে মাছ ধরার আনন্দটাই যেন আলাদা। শুধু কানুছগাড়ী নয়, গত শুক্রবার নলডাঙ্গার ব্রক্ষপুর বিলে অনুষ্টিত হয়েছে এই উৎসব। আগামী আরও কয়েকদিন বিভিন্ন স্থানে চলবে এ উৎসব বলে জানান সৌখিন মৎস্য শিকারীরা।

উৎসবে যোগ দিতে আসা একাধিক সৌখিন মৎস্য শিকারী জানান, আগে মাইকিংয়ের মাধমে পলো উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হতো। এবার খবর পেয়ে দুরদুরান্ত থেকে অনেকেই এই আনন্দময় ঐতিহ্যবাহী উৎসবে যোগ দিতে এসেছেন।

অনেক ছোট বড় মাছ শিকার করতে পেরে তারা আনন্দিত। তবে নদ নদী, খালে বিলের পানি কমে যাওয়াসহ নানা কারণে এ উৎসবে ভাটা পড়ছে। এই ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে আহ্বান জানান তারা।

এ বছর নাটোরের চলনবিল ও হালতি বিলে প্রচুর মাছ রয়েছে। সবাই উৎসাহ ভরে বাংলার চিরন্তনী এই উৎসবে মেতে উঠতে পারছে এটাই আনন্দের বিষয়।

আরও পড়ুন : কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসব

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like