আগামী ১ অক্টোবর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা, নাটক, থিয়েটার, চলচ্চিত্র ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করার অনুমতি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ওই দিন থেকে সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি এবং জাদু প্রদর্শনীর মতো অনুষ্ঠানও চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশও দিয়েছেন মমতা।
গত মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহসহ বিনোদনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম এ অনুমতি দিয়েছে।
টুইট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ অক্টোবর থেকে যাত্রা, নাটক, মুক্তমঞ্চে থিয়েটার, চলচ্চিত্র, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি এবং জাদু প্রদর্শনী শুরু করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন তিনি। প্রথমত, এমন অনুষ্ঠান চালানোর ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০ জন বা তার কম হতে হবে। দ্বিতীয়ত, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠান করতে হবে। তৃতীয়ত, মাস্ক পরাসহ অন্যান্য বিধিও মানতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ থাকলে খুলে দেয়া হবে সিনেমা হল
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় এবার পুজোয় কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফেসবুকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর আবেদন জানিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর লোপামুদ্রা বললেন, ‘গতকাল শুটিংয়ের ফাঁকে আবেগপ্রবণ হয়ে দিদিকে মনের কথা লিখেছিলাম। তাঁকে ট্যাগও করি। আমার ম্যানেজার অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। মৃদু ধমক দিয়েছিল জয়ও। বলেছিল, সব ব্যাপারে না জড়ালেই নয়! এক রাতের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ দেখে নতুন করে আবেগে ভাসছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সঙ্গীত দুনিয়াকে নতুন অক্সিজেন দিল। আমি ভীষণ খুশি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট প্রসঙ্গে নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘৫০ জন পারফর্মার, না কি পারফর্মার ও দর্শক মিলিয়ে ৫০ জন, বিষয়টি পরিষ্কার হলো না। আশা করি সরকার এ সম্পর্কে সবিস্তারে গাইডলাইন দেবেন, এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সাহায্য করবেন। শুধু হল খুলে দিলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না।’
ভয়েস টিভি/এসএফ