লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনিতে নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর দায়ে গ্রেফতার পাঁচজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের আসামীরা হলেন, বুড়িমারী এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলম (২২) ও বায়েজিদ (২৪), ইউসুব আলী ওরফে অলি হোসেনের ছেলে রফিক (২০), আবুল হাসেমের ছেলে মাসুম আলী (৩৫) এবং সামছিজুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫)।
এর আগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে আলোচিত তিন মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। হত্যা মামলায় গ্রেফতার ওই পাঁচজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী।
গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা করে মরদেহ পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ অক্টোবর শনিবার একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া পুলিশের উপর হামলার দায়ে পাটগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক শাহজাহান আলী এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের দায়ে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এই তিন মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
ভয়েস টিভি/এমএইচ