চলতি বছর পাটের ভালো ফলন হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে কুষ্টিয়ার পাট চাষীরা। বাজার মন্দা থাকায় বিগত মৌসুমগুলোয় এই সোনালী আঁশ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছিলো কৃষকরা। কিন্তু এবার পাট বিক্রিতে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আবারো পাট চাষে আগ্রহ ফিরছে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবনী জাতের পাট চাষে এবার বেশি ফলন হয়েছে কুষ্টিয়ায়। বর্তমানে অধিকাংশ গ্রামেই চলছে পাট ধোয়া, রোদে শুকানো ও বিক্রির উৎসব। প্রতিমন পাট ২১’শ থেকে সাড়ে ২৫’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাট বিক্রি নিয়ে কোন বিড়ম্বনাও নেই। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভালো দামে পাট কিনছেন। অথচ এক সময় এই সোনালী আঁশ ছিল কৃষকের গলার ফাঁস। কিন্তু এবার পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কুষ্টিয়ার চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। আগ্রহ বেড়েছে পাট চাষের।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশে পাটজাত পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েছে। আর পাট উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ও পরিবেশ রক্ষায় পাটজাত পণ্যের চাহিদা তৈরি আর ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই।
কুষ্টিয়ার খামারবাড়ি কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, এবার কুষ্টিয়া জেলায় ৩৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৩৯ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টর জমিতে পাটের উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন। জেলার ৬টি উপজেলায় পাটের মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৪ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন।
ভয়েসটিভি/এএস