Home শিক্ষাঙ্গন যৌন হয়রানি সচেতনতা যুক্ত হচ্ছে পাঠ্যক্রমে: শিক্ষামন্ত্রী

যৌন হয়রানি সচেতনতা যুক্ত হচ্ছে পাঠ্যক্রমে: শিক্ষামন্ত্রী

by Shohag Ferdaus
শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্কুলের পাঠ্যক্রমে নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানি নিয়ে সচেতনতামূলক বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা শৈশব থেকেই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতন হতে পারে।

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে ১১ অক্টোবর রোববার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

দীপু মনি বলেন, ‘শুধু কোভিড সংকট নয়, আগামীর সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি আমরা।’

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘মেয়েদের স্কুলে ফেরাতেই হবে’ শীর্ষক ডিজিটাল সংলাপ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহামারীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বাড়ছে, বেড়ে যাচ্ছে বাল্যবিয়ে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল মাধ্যমের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া হয়েছে বলেদাবি করেন দীপু মনি।

‘টেলিভিশনে ক্লাস নেয়ার মানও বেড়েছে। শুধু সরকার নয়, বেসকারি পর্যায়েও অনেক প্রতিষ্ঠান এভাবে ক্লাস নিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের যে এই পরিস্থিতিতে স্কুলে যেতেই হবে- এমনটি ভাবা যাবে না।’

মহামারীর মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিটি ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে। তাই ভুয়া সনদ দেখিয়ে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না।’

বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর তা আবার বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পাশাপাশি শিক্ষকরাও যে বিপদে আছেন, তা সংলাপে তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

‘এই মহামারিটা আমাদের সামনে একটা ম্যাগ্নিফাইং গ্লাসের মতো। আমাদের ভুল-ভ্রান্তি ও করণীয় সম্পর্কে নতুন করে শিখতে পারছি। সবাইকে স্কুলে ফেরানোর আগে তথ্য-উপাত্ত ও বাস্তবতা যাচাই করে দেখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, ‘আমাদের বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা সত্য যে, এই মহামারীতে আমরা কিছু হারিয়েছি, আরও কিছু হারাব। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার অবশ্যই বেড়েছে।

‘শিক্ষার্থীদের, বিশেষত আমাদের মেয়েদের জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like