ঢাকা: প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন ধরনের বিকল্প পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষাজট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে স্নাতক পর্যায়ে অন্তত দুই বছরের সেশনজটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মূলত এসব কথা চিন্তা করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, করোনার এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা ছাড়াই পাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একাধিক রাজ্যেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবার বিভিন্ন দেশে সিলেবাস কমিয়ে সীমিত পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে সরকার। জানা গেছে, যদি সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে, তবে বিভিন্ন বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ বছরের পড়াশোনা শেষ করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ জন্য প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন ধরনের বিকল্প পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর পরীক্ষার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব আলোচনায় থাকলেও তা কবে এবং কীভাবে হবে, নাকি পরীক্ষা হবে না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডগুলোর দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, মূলত করোনায় বন্ধের আগে বছরের প্রথম আড়াই মাসে যতটুকু পাঠ্যসূচি শেষ করা হয়েছিল, সেটি বাদ দিয়ে পরবর্তী পাঠ্যসূচি কাটছাঁট করা হচ্ছে। নভেম্বরে খুললে যে পাঠ্যসূচি হচ্ছে, সেখানে বর্তমান শ্রেণি এবং ওপরের শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে পুনরাবৃত্তি থাকা বিষয়গুলো বাদ দিয়ে সবচেয়ে জরুরি বিষয়বস্তু থাকবে।
নবম-দশম শ্রেণি এবং উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি কাটছাঁট হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমত নবম ও দশম শ্রেণির বই একই। ফলে নবম শ্রেণিতে সব পাঠ্যসূচি শেষ না হলেও দশম শ্রেণিতে গিয়ে তা শেষ করার সুযোগ আছে। আর এই স্তরটি শেষ করে একেবারে নতুন আরেকটি স্তরে যায় শিক্ষার্থীরা।
তাই এখানে হঠাৎ করেই পাঠ্যসূচি কমিয়ে দিলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে। একই কারণে উচ্চমাধ্যমিকেও পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত হচ্ছে না। তাই তারা কেবল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করছেন।
ভয়েস টিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/টিআর