Home জাতীয় শিগগির অভিজাত এলাকায় বাড়ছে পানির দাম

শিগগির অভিজাত এলাকায় বাড়ছে পানির দাম

by Mesbah Mukul

‘রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডির মতো অভিজাত পাড়ায় পানির দাম মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীর সমান। অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক। এ নিয়ে গবেষণা চলছে, শেষ হলে কোন এলাকায় পানির দাম কত হবে তা ঠিক করা হবে বলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিম এ খান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে সোমবার ২৭ ডিসেম্বর এসব কথা বলেন তিনি।

পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ছয় মাস ধরে এ গবেষণা চলছে। কাজ শেষ হলে পানির নতুন দাম পর্যালোচনা করা হবে। আমরা চাই না রাজধানীতে পানির দাম একরকম থাকুক। এলাকাভেদে জীবনমানের কথা চিন্তা করে দাম বাড়ানো-কমানোর বিষয়টি ভাবছি।

তিনি বলেন, গুলশানের বাসা ভাড়া আর খিলগাঁওয়ের বাসা ভাড়া এক নয়। কিন্তু দুই জায়গায় পানির দাম সমান। এটা যৌক্তিক নয়। যারা পানি বেশি খরচ করেন, তারা বিলাসি জীবনযাপন করেন। অপচয়ও করেন বেশি। ওই পর্যায়ে পানির দামও রাখা হবে বেশি। এ সিস্টেম চালু হলে পানিতে ভর্তুকিও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন খরচের চেয়ে পানির দাম অনেক কম রাখা হচ্ছে। সরকার এতদিন ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এখন আর দিতে চাচ্ছে না। আমরাও মনে করি, ভর্তুকি দিয়ে কোনও সংস্থা দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারে না। এখন হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ২৭ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। গবেষণার কাজ চলছে ওয়াটার এইডের সঙ্গে। গবেষণার পর বুঝতে পারবো কতগুলো ভাগে ভাগ করা হবে ওয়াসা এলাকাকে। দাম কত ধরনের হবে সেটাও গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারণ করতে পারবো।

ওয়াসা পরিচালক বলেন, আমাদের পানি নির্দ্বিধায় ফোটানো ছাড়া পান করা সম্ভব। পানি যখন পাইপে আসে সেখানে গুণগত মান ঠিক থাকে। বাসাবাড়ির লাইনে ত্রুটি থাকতে পারে, ভেতরটা অপরিচ্ছন্ন থাকতে পারে। তখন পানি দূষিত হয়। আমাদের এক জরিপে দেখা গেছে ৩৫ শতাংশ বাসাবাড়ির হাউসগুলোতে শ্যাওলা থাকে। এজন্য আমরা পরামর্শ দিই, তিন মাস পর পর হাউসগুলো যেন পরিষ্কার করা হয়।

রাজধানীতে এখন ৯ শতাধিক পানির পাম্প আছে। আমরা এখন পদ্মা-জশলদিয়া থেকে পানি এনে প্রক্রিয়াজাত করে রাজধানীতে বিতরণ করছি। ২০৩০ সালে গড়ে ৩৫০-৪০০ পাম্প সচল থাকবে।

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like