Home সারাদেশ যমুনার পানির নিচে ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি

যমুনার পানির নিচে ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি

by Newsroom
পানির নিচে

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে যমুনা নদীর পানি। এতে জেলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই সাথে ফুলজোড়, করতোয়াসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছরের জুনের প্রথম থেকেই যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে বাড়তে শুরু করে। গত ২৮ জুন উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

এরপর ৪ জুলাই থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিপৎসীমার নিচে নেমে যায় যমুনার পানি। আবার ৯ জুলাই থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে। টানা ২৫ দিন বন্যার পর ৭ আগস্ট যমুনার পানি উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়।

আরও পড়ুন- ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো হাইকোর্ট

এর মধ্যে কয়েক দফায় যমুনার পানি কমতে ও বাড়তে থাকলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আবার ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনার পানি। এরপর থেকে যমুনার পানি দু’টি পয়েন্টেই হ্রাস-বৃদ্ধি হতে থাকে। ১ অক্টোবর কাজিপুর এবং ২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে আবার যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

জেলার কৃষি বিভাগ জানায়, বারবার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ফসলী জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফসল। জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৩৪০৬ হেক্টর রোপা আমন, ৯৩১ হেক্টর মাসকলাই, ২৩৪ হেক্টর শীতকালীন সবজি, ৮০ হেক্টর বাদাম ও ৬৮ হেক্টর  মরিচ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ০২ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৪ মিটার। এখানে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪৩ মিটার পানি। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও দু-একদিন বাড়তে পারে।

ভযেস টিভি/এমএইচ/ডিএইচ

You may also like