কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিচার শুরু হচ্ছে আজ। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মানব পাচার, অন্যায্য ভিসা বিক্রি, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেনের চার অভিযোগে কুয়েতের আদালতে বাংলাদেশি এ এমপির বিচার শুরু হবে। বাংলাদেশের কোনো এমপিকে এর আগে কখনোই বিদেশের মাটিতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। পাপুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আজ আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন।
এদিকে এমপি পাপুলের বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পাপুলের বিষয়ে কুয়েত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি। সে দেশের আদালতে পাপুলের অপরাধ প্রমাণিত হলে এবং কুয়েত সরকার ওই তথ্য আমাদের অবহিত করলে আমরা তার (পাপুল) বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যবস্থা নেব।’
গত ৬ জুন এমপি পাপুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা। সে সময় পাপুলসহ তার প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাপুলের বিষয়ে নিজ থেকে কোনো তথ্য চাইবে না বাংলাদেশ। কুয়েত সরকার তথ্য জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৯ জুলাই সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংসদ পাপুল সম্পর্কে বলেন, ‘দ্বৈত নাগরিক প্রমাণ হলে নিয়ম অনুযায়ী তার (পাপুল) আসন খালি করে দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও তদন্ত চলছে।’
এদিকে পাপুল গ্রেফতার হওয়ার পর টুইটারে দেয়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানব পাচার, অর্থ পাচার ও কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কুয়েতের নাগরিক নন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কুয়েতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়।’
এমপি পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি। পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর তিনিসহ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ভয়েস টিভি/এসএফ