পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার মা মা শাহানারা খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত ঐশি খাতুন (২০) আওতাপাড়া গ্রামের নুরজাহান স্কুল সংলগ্ন হারুন প্রামাণিকের ছেলে জাহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী চরআওতাপাড়া গ্রামের মাহাবুল ইসলামের মেয়ে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বিয়ের সময় নগদ টাকা, আসবাবপত্র নেন জামাই জাহিদ। এরপরও যৌতুকের জন্যে ঐশিকে প্রায়ই সে মারধর করতো। মেয়ের সুখের জন্যে তাকে নগদ তিনলক্ষ টাকা এবং একলক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। কিছুদিন পর আবারও নগদ আড়াই লক্ষ টাকার জন্য স্ত্রী ঐশির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে জাহিদ।
শনিবার বিকেলে আবারও টাকার জন্য ঐশির উপর নির্যাতন করে জাহিদ। এক পর্যায়ে জাহিদ তার মা মরিয়ম (৫০), ভাই মকলেছুর রহমান (৩২) ও ভাবী রেশমা খাতুনের (২৮) সহযোগিতায় পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ঐশিকে হত্যা করে। পরে প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে ঐশিকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ঐশির ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী জাহিদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কোম্পানিতে কর্মরত।
নিহত ঐশির খালা রুপা বলেন, যৌতুক ছাড়াও জাহিদ পরকীয়ায় লিপ্ত। ফরে প্রায়ই সংসারে ঝগড়া বিবাদ হতো। ঐশিকে হত্যা করার পর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
