Home খেলার খবর নেইমারের জোড়া গোলে পিএসজির জয়

নেইমারের জোড়া গোলে পিএসজির জয়

by Shohag Ferdaus
পিএসজির জয়

খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দারুণ শুরুর পর ছন্দ হারাল পিএসজি। সেই সুযোগে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে চমৎকার কয়েকটি সুযোগ পেয়েও ব্যবধান গড়ে দিতে পারল না তারা। শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। জোরালো করল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২ ডিসেম্বর বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে দুই ব্রাজিলিয়ানের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। নেইমারের গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন মার্কাস র‌্যাশফোর্ড। মার্কিনিয়োস এগিয়ে নেয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়ান লিগ ওয়ানের দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।

প্রথম লেগে হারের মধুর প্রতিশোধও নেওয়া হলো পিএসজির। গত অক্টোবরে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসর শুরু করেছিল গতবারের রানার্সআপরা।

কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়া, সঙ্গে নেইমারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপের শটে বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে চলে যায় ছয় গজ বক্সের ডান দিকে, সেখানে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার। আসরে এটা তার দ্বিতীয় গোল।

চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; তবে আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।

৩২তম মিনিটে সৌভাগ্যসূচক গোলে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। অঁতনি মার্সিয়ালের শট পিএসজি গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর এক সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সের মুখ থেকে জোরালো শট নেন র‌্যাশফোর্ড। বল ডিফেন্ডার দানিলোর পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ফ্লোরেন্সির ক্রসে মার্কিনিয়োসের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। এর পাঁচ মিনিট পর আর ব্যর্থ হননি এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। ডান দিক থেকে আবদু দিয়ালোর পাস ছোট ডি-বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে টোকা দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

পরের মিনিটেই রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ১০ জনের দলে নেমে আসে ইউনাইটেড। আন্দের এররেরাকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রেদ, যদিও স্লাইড ট্যাকলে বলে পা লাগিয়েছিলেন তিনি।

এক জন কম নিয়ে বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি উলে গুনার সুলশারের দল। নির্ধারিত সময়ের শেষ পাঁচ মিনিটে চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৮৮তম মিনিটে ম্যাচ শেষ করে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে, কিন্তু তার কোনাকুনি শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন নেইমার। রাফিনিয়ার কাটব্যাক ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন তিনি।

পাঁচ রাউন্ড শেষে ইউনাইটেড, পিএসজি ও লাইপজিগের পয়েন্ট সমান ৯ করে। শীর্ষে আছে ইংলিশ ক্লাবটি। পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে পিএসজি ও লাইপজিগ।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like