১৯৭০ সালে পথচলা শুরু হয় ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)। ৫০ বছরের ইতিহাসে ৯ বার লিগ ওয়ান শিরোপার পাশাপাশি বিভিন্ন শিরোপা জিতলেও এখন পর্যন্ত খেলা হয়নি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। তবে এবার র্জেন্টাইন-ব্রাজিলিয়ান রথে চড়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। পর্তুগালের লিসবনে লাইপজিগকে হারিয়েছে তারা ৩-০ গোলে।
আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো হয়ে যাবে ইউরোপ সেরা হবে পিএসজি। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে অপর সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁনের ম্যাচে জয়ী দল।
রাত ১টায় লিসবনের মাঠে খেলার শুরু থেকেই আরবি লেইপজগকে আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তবে ৬ মিনিটে নেইমার মিস করলেও ১৩ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় মারকুইনস। ডি মারিয়ার সেট-পিস থেকে মারকুইনসের অসাধারণ হেডে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।
দলের দ্বিতীয় গোলটি আসে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন কম্বিনেশনে। ম্যাচের ৪২ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা অ্যানহেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। তবে ম্যাচের ২৫ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত লেইপজিগ। কিন্তু ডেনিশ স্ট্রাইকার পুলসেনের শর্টটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এদিকে ৩৬ মিনিটে নেইমারের একটি ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ১১ মিনিটেই ফের গোল করে পিএসজি। জুয়ান বার্নাটের ট্যাপ ইন হেড থেকে ৩-০তে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। অ্যাসিস্ট আসে ডি মারিরা পা থেকে। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ হলেও আর গোল হয়নি। ৩-০ ব্যবধানে লেইপজিগকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।
ভয়েস টিভি/স্পোর্টস ডেস্ক/এসএফ