ভয়েস ডেস্ক: অবশেষে পূর্ব লাদাখে চীনা সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ার কথা স্বীকার করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। হিন্দুস্তান টাইমস।
রাজনাথের দাবি, চীন ওই এলাকাকে নিজেদের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতীয় ভূখণ্ড। আগামী ৬ জুন চীন ও ভারতীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন। তবে নিজের অবস্থান থেকে কোনোভাবেই পিছু হটবে না দিল্লি।
রাজনাথ বলেন, বেশকিছু চীনা নাগরিক ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। ভারতের যা করা উচিত ছিল, তা-ই করেছে। সমস্যা সমাধানের জন্য চীনকে পরিস্থিতি গভীরভাবে বিবেচনার পরামর্শ দেন ভারতীয় মন্ত্রী।
প্রায় মাসখানেক ধরে পূর্ব লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চীন ও ভারতীয় বাহিনী। এ নিয়ে একাধিকবার সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হলেও সমাধান মেলেনি।
২০১৭ সালে ডোকলামে ত্রিদেশীয় সীমান্তে এমন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল চীন ও ভারতীয় বাহিনী। সেবার কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের অবসান ঘটে। দিল্লির প্রত্যাশা এবারও সেই পথেই সংকট উত্তরণ ঘটতে পারে।
এমন আশাবাদের কথা জানালেও একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার ভাষায়, ভারত কোনও দেশের অহংকারে আঘাত করতে চায় না। আবার একইসঙ্গে নিজের অহংকার খর্ব করার কোনো প্রচেষ্টাকেও প্রশ্রয় দেয় না।
ইতোমধ্যে দুই দেশই পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী, সামরিক যান ও প্রচুর অস্ত্রসম্ভার পাঠিয়েছে। এর মধ্যেই গত ৫ মে সন্ধ্যায় প্রায় ২৫০ ভারতীয় ও চীনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পরে গত ৯ মে উত্তর সিকিমেও একই রকম ঘটনা ঘটে।
দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ভারতে শুরু হয়েছে ‘বয়কট চায়না’ ক্যাম্পেইন।
