পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ব্যাপারে লিখিতভাবে কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করেই বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। সোমবার সকাল থেকে এখনো কোন পেঁয়াজের ট্রাক সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেনি।
সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম ভয়েস টিভিকে জানান, হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সকাল থেকেই কোন পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
বন্ধের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে দাম নির্ধারণ করে দেয় ন্যাপেট নামের একটি সংস্থা। বর্তমানে একটন পেঁয়াজের রেট চলছিল ৩০০ ডলার। সেটি সম্ভবত বাড়িয়ে ৫০০ বা ৭০০ ডলার নির্ধারণ করবে। সেই কারণেই হয়তো পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধাক্ষ্য মাকসুদ খান পেয়াজ আমদানি বন্ধের আরেকটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বর্তমানে যে রেটে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজ রপ্তানি করছে সেটিতে তাদের লোকসান হচ্ছে। যার কারণে ন্যাপেট পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। এছাড়া ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কম। মূলত উৎপাদন কম ও কম মূল্যে রপ্তানি করতে না পারায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা ভোমরা কাস্টমস সহকারী কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রোববার পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৮৫ ট্রাকে ১৮৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার ৭৮ ট্রাকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৮৯৭ মেট্রিক টন।
আর ৮ সেপ্টেম্বর ৭৪ ট্রাকে ১৭৩০ মেট্রিক টন, ৯ সেপ্টেম্বর ৮৮ ট্রাকে ২১৪৩ মেট্রিক টন, ১০ সেপ্টেম্বর ৫৪ ট্রাকে ১২৬২ মেট্রিক টন, ১২ সেপ্টেম্বর ৮২ ট্রাকে ১৭৯৮ মেট্রিক টন, ১৩ সেপ্টেম্বর ৭৪ ট্রাকে ১৭৩৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে আজ ১৪ সোমবার সেপ্টেম্বর থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোন পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন ভয়েস টিভিকে জানান, সকাল থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত এখনো কোন পেঁয়াজের ট্রাক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেনি। তাছাড়া পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কোন কারণও জানা যায়নি। লিখিতভাবেও ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। তবে শুনছি, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
ভয়েস টিভি/টিআর