Home সারাদেশ ফেনীতে প্রধান শিক্ষক জটিলতায় বিদ্যালয়ের বেতন বন্ধ

ফেনীতে প্রধান শিক্ষক জটিলতায় বিদ্যালয়ের বেতন বন্ধ

by Newsroom
প্রধান শিক্ষক

ফেনীর সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণের আদেশের পর প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের পদ চলে যায়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিনি সহকারী শিক্ষক হয়ে যান।

জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক এবিএম সামছুদ্দিন বশরকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। দায়িত্ব হস্তান্তর না করে জয়নুল আবেদীন সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক-কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব গোপাল চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সরকারিকরণ করা হয়। চলতি বছরের ৪ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এবং তিনজন কর্মচারীর চাকরি সরকারিকরণ করা হয়।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হলে মাস্টার্স পাস হতে হবে। সরকারিকরণের পূর্ব থেকে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদিন বিএ পাস হওয়ায় তিনিও সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি তালিকাভুক্ত হন।

সহকারী পদে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় পূর্বে কর্মরত থাকা শিক্ষকদের মধ্যে কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবেও সরকারিকরণ হতে পারেননি। ফলে আগামীতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসির) মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান পদে জনবল নিয়োগ করার কথা রয়েছে।

কার্যক্রম অব্যহত রাখতে গত ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে এবিএম সামছুদ্দিন বশরকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তিনি চিঠি পেয়ে গত ১৯ অক্টোবর সদ্য বিদায়ী  প্রধান জয়নুল আবেদীনের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক পর্ষদের সভার মাধ্যমে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এবিএম সামছুদ্দিন বশর জানান, চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রয়েছে তার চাকরির মেয়াদ। সরকারি আদেশের চিঠি পেয়ে শিক্ষক পর্ষদের সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু সাবেক প্রধান তাকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় বিপাকে রয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে সাবেক প্রধান জয়নুল আবেদীনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। প্রধান শিক্ষক জটিলতায় শিক্ষকরা তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like