বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বের পদত্যাগ চাইতে পারেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতৃত্বের পদত্যাগ চাওয়া তার (ওবায়দুল কাদের) কোনো রাইটস্ নেই। পায়ের নিচে ওবায়দুল কাদেরের মাটি নেই। জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং জোর করে ক্ষমতায় থেকে এসব কথা বলছেন। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলেই তারা বুঝতে পারবেন বিএনপির সাথে জনগণ আছে কি না।
২০ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক মন্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটা বাতিল করার পর থেকে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা হয়ে গেছে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হতে দিবেনা।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি বড় বড় দলে নানা ধরনের সমস্যা হয়; সবসময়ই হয়। বড় দল বলেই তো নানা সমস্যা। কিন্তু আমাদের যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্য সেজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। বিগত নির্বাচনকে বাতিল করে নিরপেক্ষা সরকারের অধিনে আমরা একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
জনগণের সম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। আমরা মনে করি বাংলাদেশের মানুষ কখনই স্বৈরাচি সরকারের কাছে মাথা নত করেনি। সময় লাগতে পারে, তবে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার সাজা স্থগিত করে যে কথা বলা হয়েছে তাতে সাজা স্থগিত করার বিষয়টি আমরা দেখিনি। খালেদা জিয়া সঠিক অর্থে মুক্ত নয়।
চিকিৎসার জন্য তিনি দেশের বাহিরে যেতে পারবে না। এখন সবকিছু সরকারের হাতে, সরকার যদি বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে বিধি নিষেধ স্থগিত করেন তাহলে খালেদা জিয়া দেশে বা বিদেশে তিনি চিকিৎসা করবেন।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস প্রমুখ।
ভয়েস টিভি/এমএইচ