Home লাইফস্টাইল ফলের পুষ্টিগুণ

ফলের পুষ্টিগুণ

by Amir Shohel

কমলা

– একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়।
– বিশেষ করে ঠাণ্ডা লাগা, কানের সমস্যা দূর করতে অতি উপযোগী কমলালেবু। কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
– মস্তিস্কের বিকাশের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে কমলালেবুতে। লিভার কিংবা হার্টের বিভিন্ন রোগে কমলালেবু খাওয়া উপকারী। হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও কমলা খেলে উপকার অনেক।
পেঁপে
– চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে একটি আদর্শ ফল। যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখা উচিত। পেঁপে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করে।

বেল

-গরমের সময় পরিশ্রমের পর বেলের শরবত খেলে কান্তি ভাব দূর হয়। বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। এর ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
– বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। বেলের শাঁস পিচ্ছিল বলে এই ফল পাকস্থলীর জন্য উপকারী। খাবারও সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে।
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

আমড়া

টক-মিষ্টি ফল আমড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ। আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।
ষমুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়ার। পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন, হজমে সহায়ক হবে।
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়।

/এএস

You may also like