সিলেট : বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সিলেট অফিস ঘেরাও করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছে ফুডপান্ডা ডেলিভারি রাইডাররা। ৬ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিলেট নগরের জেল রোডে প্রতিষ্ঠানটির সামনে প্রায় দুই শতাধিক ডেলিভারি রাইডার বিক্ষোভ করে।
পরে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই কোম্পানিটির সিলেট অফিসের ব্যবস্থাপক এলাহী ইমন রাইডারদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের শান্ত করেন।
এ বিষয়ে ৭ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাইডারদের দাবিগুলো লিখিতভাবে সিলেট অফিসে নিয়ে আসার অনুরোধ করে বলেন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে। এরপর তারা অফিসের সামন থেকে চলে যায়।
ডেলিভারি রাইডার মো. জমির হোসেন কাজী বলেন, সিলেটে প্রায় চার হাজার নিবন্ধিত ডেলিভারি রাইডার রয়েছে। এরমধ্যে গড়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন ১৫০ থেকে ২০০ জন। কিন্তু মাঠপর্যায়ে খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে অফিসের ফোন নম্বরে কল দিলে কেউ রিসিভ করেন না। কখনো আবার অন্য রাইডাররা ফোন রিসিভ করে দুর্ব্যবহার করেন। যা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম পরিপন্থী। কিন্তু অফিসের দু-একজন কর্মকর্তার অসৎ প্রশ্রয়ে তারা এসব করছে।
জমির কাজী আরো বলেন, যারা টানা ১৪ দিন কাজ করে তাদের রেটিং পয়েন্ট কমিয়ে তিনে নামিয়ে দেয়া হয়। অথচ যে রাইডার মাত্র একদিন কাজ করল তাকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রেটিং পয়েন্টে এক নম্বরে এনে দেয়া হয়। এর ফলে যে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে সে পায় কম পারিশ্রমিক আর যে কম কাজ করে সে পায় বেশি পারিশ্রমিক। এছাড়া যাতায়াত খরচও কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে রাইডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব সমস্যা সমাধানের জন্যেই রাতে রাইডাররাঅফিসের সামনে জড়ো হয়ে দাবি-দাওয়া জানিয়েছি। তখন ম্যানেজার তাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে রাইডাররা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।
ফুডপান্ডা সিলেট অফিসের ব্যবস্থাপক এলাহী ইমন বলেন, ‘কয়েকজন রাইডার বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাতে অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলো। তাদের বলেছি দাবিগুলো লিখিতভাবে নিয়ে আসতে। ন্যায্য কোনো দাবি থাকলে তা আমরা মেনে নেবো।’
সম্পাদনা : ডিএইচ