55
বনানী থানার মাদক মামলায় তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২১ আগস্ট শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এই আদেশ দেন।
গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় চিত্রনায়িকা পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় তাকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলেন, আসামি পরীমণি মামলার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি। তাকে জামিন দিলে মুক্তি পেলে তিনি বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেন ও পালাতে পারেন।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আসামিপক্ষের অন্য আইনজীবীরা আদালতে পরীমণির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে পরীমণিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় তাকে রাখা হয়। পরে বিকাল পৌনে ৩টায় তাকে এজলাসে হাজির করা হয়।
গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : ৪ দিনের রিমান্ডে পরীমণি
ভয়েস টিভি/ এএন