Home মুক্তমত বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা থেকে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা থেকে বাংলাদেশ

by Amir Shohel

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি জাতির প্রাণের স্পন্দন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে, এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও হবে। কিন্তু সামান্য কিছু শব্দগুচ্ছে কয়েক পৃষ্ঠা লিখে তাঁর গুণগ্রাহী শেষ করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কর্মই ছিলো দেশের জন্যে, দেশের মানুষের জন্যে। দেশের মানুষকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুর মত সংগ্রাম করেছেন এমন নেতা সারাবিশ্বে খুব কমই দেখা যায়। ভালোবাসার সবচেয়ে বড় নিদর্শন একটি বৃহৎ, স্বতন্ত্র, সার্বভৌম, স্বাধীন ভূখণ্ড; সেটি হলো সবুজ-শ্যামল দেশ আমাদের এই মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ।

দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কেমন ছিলো সেটা বঙ্গবন্ধু তাঁর শৈশবেই দেখিয়েছেন। শৈশব থেকে আমৃত্যু মেহনতি মানুষের দুঃখগুলো নিজের করে নিয়েছেন, আর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু কখনো নিজের ন্যুনতম সুখ বা আরাম-আয়েশের কথা চিন্তা করেননি। সর্বদাই চেয়েছেন দেশের মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে, স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের এই প্রকৃত বন্ধু পরিবার পরিজনসহ নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের কত আপন ছিলেন।

কথিত আছে, শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্ব পুরুষ ছিলেন শেখ আউয়াল। তিনি মোগল শাসনামলে বাগদাদ থেকে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন। তাঁর পুত্র আব্দুল হামিদ এবং আব্দুল হামিদের পুত্র বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান। লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ঘরে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতা আদর করে তাঁকে খোকা বলে ডাকতেন। এই খোকাই হলেন সর্বকালের সেরা বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।

বঙ্গবন্ধুর শৈশব কেটেছে পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়ায়। টুঙ্গিপাড়ার মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে, বর্ষার পানি-কাদা মেখে, নদীতে সাঁতার কেটে, খেলাধুলা করে তাঁর শৈশব কেটেছে। ফুটবল ছিল তার প্রিয় খেলা। পাখি আর জীবজন্তুর প্রতি ছিল গভীর মমতা। তিনি দোয়েল ও বাবুই পাখি খুব ভালোবাসতেন। বাড়িতে শালিক, ময়না, বানর ও কুকুর পুষতেন। কারাগারের রোজনামচা থেকে জানতে পারি, কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি মুরগী পুষতেন, অবসরে পাখির সঙ্গে গল্প করতেন, কাকের সঙ্গেও তাঁর ছিল অম্ল-মধুর সম্পর্ক। মুরগী অসুস্থ হলেও তিনি কষ্ট অনুভব করতেন।

গ্রাম বাংলার মাটি আর মানুষ তাঁকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করতো। তিনি গ্রামের মানুষদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সেই ছোটবেলা থেকে গভীরভাবে অনুধাবন করেন। আর প্রতিবেশী গরীব মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁর কোমল মন চরমভাবে ব্যথিত করতো। বাড়ি থেকে চাল-ডালসহ বিভিন্ন জিনিস বাবা-মাকে জানিয়ে, আবার মাঝে মাঝে চুরি করে গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হামিদ মাস্টার ছিলেন তাঁর গৃহশিক্ষক। তাঁর স্যার তখন গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য করার জন্যে একটি সংগঠন করেছিলেন। তিনি ছিলেন এই সংগঠনের প্রধান কর্মী। বাড়ি বাড়ি ধান চাল সংগ্রহ করে ছাত্রদের সাহায্য করেছেন।

তিনি যখন গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুলের ছাত্র সে সময় একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক ওই স্কুল পরিদর্শনে আসে। সাহসী কিশোর মুজিব সেবার স্কুল ঘর মেরামত ও ওই অঞ্চলের অনুন্নত অবস্থার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে তরুণ মুজিব বিক্ষোভ সংগঠিত করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গীকার আদায় করেন। দেশভাগের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নের জন্যে ভর্তি হন। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্যের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ বঞ্চিত হন।

১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনে প্রধান সংগঠকদের একজন ছিলেন শেখ মুজিব। জেলে থাকা অবস্থায় নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। মূলত দেশের মেহনতি মানুষের উপর শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়-অত্যাচার তাঁকে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছে। তাই পরবর্তী জীবনে তিনি কোনো শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করেননি, মাথানত করেননি।

সর্বকালের এই সেরা বাঙালি পাাকিস্তান পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে যখন ভাষণ দিতেন, তখন কখনোই পূর্ব-পাকিস্তান বলতেন না- বলতেন পূর্ব বাংলা। ভাষা আন্দোলনে ছাত্র শেখ মুজিব অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ এবং বাঁচার দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করেন। বঙ্গবন্ধু ছোটদেরকে খুব ভালোবাসতেন। কচিকাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তাঁর প্রিয় সংগঠন।

২৫ শে মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি তখন নিজ বাসভবনেই ছিলেন। চাইলে তিনি আত্মগোপনে যেতে পারতেন, কিন্তু যাননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন, তিনি মনে করেছিলেন- পাকিস্তানীরা তাঁকে পেলে হয়তো সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি করবে না। ওইদিন আটক করে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের কারাগারে তাঁকে আটক করে রেখেছিল। তাঁর জন্যে পাকিস্তানি কারাগার এলাকায় কবর খুঁড়ে রেখেছিল, কিন্তু তিনি পাকিস্তানীদের সঙ্গে কোনো ধরণের আপোস করেননি। দেশের মানুষের দোয়া ও ভালবাসার জোরে তিনি স্বদেশে ফিরে এসেছিলেন।

ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার শক্তি কোথায়?’ বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেন, ‘আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি।’ আবার প্রশ্ন করলেন, ‘আর আপনার দুর্বল দিকটা কী?’ বঙ্গবন্ধু উত্তরে বললেন, ‘আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসি।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাত দিন কারা ভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিন তিনি কারাভোগ করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে। কিন্তু একটি দিনও ব্যক্তিগত কারণে কারা ভোগ করেননি। শুধু দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে জীবনের এতগুলি দিন অন্ধকার কারাগারে কাটিয়েছেন, শুধু মানুষকে ভালোবেসে।

৬৬ সালের ৮ মে গ্রেফতার হয়ে এক হাজার ২১ দিন কারা ভোগ শেষে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গণ-অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পান। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী দেওয়া হয়। তিনি তো এই উপাধীরই যোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এ দেশের শাসক নই, আমরা এ দেশের সেবক- একথা মনে রাখতে হবে। জনগণের সেবার জন্যেই আমরা নির্বাচিত হয়েছি এবং তাদের সেবাতেই আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে’। (জীবন ও রাজনীতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)

তিনি সাধারণত সিনিয়র ব্যতিত সবাইকেই ভালোবেসে ‘তুই’ সম্মোধন করতেন। কারণ তিনি সবাইকেই আপন ভাবতেন। তাঁর বিভিন্ন সময়ের কথার মধ্যেও ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলতেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো। সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না। দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্যে দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব।’

সব সময় জনগণ ছিল তাঁর প্রথম চাওয়া ও পাওয়া। দেশ স্বাধীন হলে ৯ মাস ১৬ দিন কারাবাস শেষে যেদিন দেশে ফিরলেন তিনি সেদিন প্রথম গেলেন জনগণের কাছে, পরিবারের কাছে যাননি। বিমান থেকে নেমে সোজা গেলেন রেসকোর্স ময়দানে, যেখানে জনগণ তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছিল।

পরবর্তীতে তিনি ঘোষণা করলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ (সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৭)। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন গ্রামীণ সমাজে সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রতিটি গ্রামে গণমুখী সমবায় সমিতি গঠন করা হবে, যেখানে গরিব মানুষ যৌথভাবে উৎপাদন যন্ত্রের মালিক হবেন; যেখানে সমবায়ের সংহত শক্তি গরিব মানুষকে জোতদার-ধনী কৃষকের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে; যেখানে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীরা গরিবের শ্রমের ফসল আর লুট করতে পারবে না; যেখানে শোষণ ও কোটারি স্বার্থ চিরতরে উচ্ছেদ হয়ে যাবে।

তাঁর প্রখর স্মৃতিশক্তি ছিল। তিনি যাকে একবার দেখতেন, সহজে ভুলতেন না। রিকশাওয়ালা, পুলিশ, জেলহাজতে থাকা কয়েদী কাউকেই ভুলতেন না। তাদের বাবা-মায়ের নাম যদি শুনতেন, তিনি সেটাও মনে রাখতেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় বাড়ি থেকে ভালো খাবার গেলে একা খেতেন না, সবাইকে নিয়ে খেতেন। কারাবন্দিদের বিভিন্ন আবদার যথাসম্ভব পূরণ করতেন। তার সেলের পাশেই ছিল পাগলদের জায়গা, এইসব পাগলদের জন্যেও তার খুব দরদ ছিল। পাগলদের যন্ত্রণা নিরবে সহ্য করতেন, কিন্তু মুখ ফুটে বা চেহারা কখনো বিরক্তি প্রকাশ করতেন না। (কারাগারের রোজনামচা)

স্বাধীনতার পরে এসে তিনি জনগণকে ভুলে যাননি। তিনি বলতেন, ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।’ সরকারি কর্মচারীদের বলতেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ছেলে, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।’

তিনি শুধু দেশের মানুষ নয়, সমগ্র মানবজাতিকেই ভালোবাসতেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত নোটবুকে লিখেছেন, ‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গোপালগঞ্জের ঈদগাহ ময়দানে এক গণ-সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তা হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়, অথচ আমি ঢাকার বিমানবন্দর থেকে বনানী, শেরেবাংলা নগর, টুঙ্গীপাড়া ও সেখান থেকে গোপালগঞ্জ আসার পথে লাখো জনতার যে সম্মান, ভালোবাসা পেয়েছি তা বঙ্গবন্ধুর জন্যেই।’

আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃষকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা

বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে শারীরিকভাবে নেই; কিন্তু প্রেরণার উৎস হয়ে, এক অনুপম আদর্শ হয়ে আমাদের মাঝে মিশে আছেন। তাঁর আদর্শ অন্ধকারে আমাদের পাথেয়। তাঁর ভালোবাসার ফল আমরা ভোগ করছি ঠিকই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারছি না। তাঁর ভালোবাসার ঋণ আজো শোধ করতে পারিনি, বরং আরও বেশি ঋণী হয়ে যাচ্ছি বেখেয়ালেই।

লেখক: গবেষক ও সাংবাদিক

You may also like