নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার। তাঁর উদারতা কিছু স্বার্থান্বেষী মহল গ্রহণ করতে পারেনি। সেজন্য বাংলাদেশকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।
১ নভেম্বর রোববার ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে নিয়ে লেখা প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। নয় মাস যুদ্ধ করে পাক হানাদারবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করা আমাদের অহংকার। এ জায়গাগুলোকে আমাদের সমুন্নত রেখে চলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি সে জায়গায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আছি; আমাদের পছন্দের লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আছে। নেতৃত্বে পছন্দ-অপছন্দ এবং রাজনৈতিক দলের পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা বাংলাদেশকে ধারণ করতে পারেনা; তাদের ধারণ করতে কষ্ট হয়। এ জায়গায় আমাদের সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হবে।
ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাজাহান সরদার, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডিআরইউ মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক ও ডিআরইউ মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব রীতা নাহার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য আহম্মেদ মুশফিকা নাজনীন।
প্রতিমন্ত্রী ডিআরইউতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ডিআরইউ’র ‘২৫ বছরের পথচলার অ্যালবাম’; ডিআরইউ সদস্যদের লেখা বই, ডিআরইউ সদস্য সন্তানদের আঁকা বিভিন্ন ছবিও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব প্রদর্শনী চলবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডিআরইউ সদস্যদের ১৫টি লেখা থেকে পরবর্তিতে বাছাই করে সেরা পুরষ্কার দেয়া হবে।
ভয়েস টিভি/একে/এসএফ
