ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল এসএসসি এক পরীক্ষার্থী ছাত্রী (১৬)। ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।
জানা যায়, উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার মেয়েও কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ মীরের (৩২) বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ।
কনের বাড়িতে বর চলে এসেছে। খাওয়া দাওয়া চলছে। এমন সময় কনের বাড়িতে হাজির হলেন ইউএনও। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে নগরকান্দার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেতী প্রু বাল্য এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এসময় বর সাজ্জাদ মীরকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক জেতী প্রু। বর সাজ্জাদ মীর উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের রাশেদ মীরের পুত্র। এছাড়া কনের পিতা আবুল কালাম মোল্যাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া কনের পিতাকে জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার বদলে নিজেই বাল্যবিয়ে করছেন। এ কারণে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
ভয়েস টিভি/এসএফ