ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে মসজিদে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা হওয়ার অভিযোগে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
৭ সেপ্টেম্বর সোমবার তাদের বরখাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাসের এমডি আলী মো. আল মামুন।
দুর্ঘটনার পরদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন তিতাসের এমডি আলী মো. আল মামুন।
ওই দিন স্থানীয় মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, তিতাসের গাফিলতির কারণেই মসজিদে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন মুসল্লিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় তিতাসের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুসল্লিদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হতাহতদের বর্তমান অবস্থা:
ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়া ৩৭ জন দগ্ধ রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাকি ৯ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তবে মোঃ মামুন (৩০) নামে একজন একজন আশঙ্কামুক্ত থাকায় বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ ছিলো বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন।
৪ সেপ্টেম্বর গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরণ হয়। মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ভয়েস টিভি/টিআর