Home সারাদেশ সংঘাত লেগেই থাকতো বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে

সংঘাত লেগেই থাকতো বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে

by Newsroom
বাঁশখালী বিদ্যুৎ

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে। কেন্দ্রটি নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের নানা অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। জানা গেছে, কেন্দ্রটি বাস্তবায়নের যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সে সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জন গ্রামবাসী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। এর পরের বছর একই কাজে বাধা দিতে গেলে আরও একজনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ গতকাল শনিবার বেতনভাতা এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালালে পাঁচজন নিহত হয়, আহত হয় আরও অন্তত ৫০ জন। এ নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এখনো পর্যন্ত মারা গেলেন ১০ জন।

বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস এস পাওয়ার লিমিটেড এবং চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছে। জানা যায়, ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি সেপকো-৩ ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সট্রাকশন করপোরেশনের সঙ্গে এস আলম গ্রুপ একটি চুক্তি করে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয় ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার। সেসময় রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে কোম্পানির যে চুক্তি হয় তাতে পরবর্তী ৪৫ মাসের মধ্যে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা।

২০১৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রতি মেগাওয়াটের দাম নির্ধারণ করে ৬ টাকা ৬১ পয়সা। একই বছর প্রকল্পটির জন্য ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে কোম্পানিটি। অভিযোগ ওঠে, ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ ছাড়াই এ প্রক্রিয়া শুরু করে কোম্পানিটি। ২০১৮ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ বিভাগ এস আলম গ্রুপকে সতর্ক করে দেয়। ঐ বছরের মার্চে তারা জানায়, তারা ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেও কোম্পানিটি তাদের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ভয়েস টিভি/ডি

You may also like