Home সারাদেশ মিয়ানমারে বাংলাদেশি ট্রলার জব্দ, মুক্তিপণের দাবি

মিয়ানমারে বাংলাদেশি ট্রলার জব্দ, মুক্তিপণের দাবি

by Mesbah Mukul

বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং কুলুং এলাকা থেকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা চার বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার ও ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা আটক করেছে।

গত ৮ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১ টার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের সিটওয়ে (আকিয়াব) শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে ধরে নিয়ে যায়।

৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে টেকনাফ পৌর সভার কায়ুকখালী ঘাট দিয়ে এসব ফিসিং ট্রলারগুলো বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে রওয়ানা দেয়। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেখানে আটক নৌকার মালিক ও মাঝি টেকনাফ পৌর সভা ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা ফজল করিম ওরফ নাতির ছেলে নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, ‘অন্যান্য দিনের মত গত ৫ নভেম্বর বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্টলারের মত আমার বাবা নিজ ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে বের হয়। কিন্তু গত সোমবার ৮ নভেম্বর দুপুরে জানা যায় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং কুলুং এলাকা থেকে বিজিপি সদস্যরা চারটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করে রাখে।’

ট্রলার হলো হচ্ছেন টেকনাফ পৌর সভার নাইট্যং পাড়ার ফজল করিম, ৭ নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার সালমান ও ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মো. ছৈয়দ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজল করিম নিজে মাঝি হিসেবে ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গেলেও সালমানের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি মোবারক, মো. ছৈয়দের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি ছৈয়দ আলমসহ তিনটি ট্রলারের ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা গত সোমবার ৮ নভেম্বর সকাল থেকে আটকা রয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের হাতে।

একটি সুত্র মতে জানা গেছে, প্রতি ট্রলারে দু’লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বিজিপি। এ নিয়ে ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছে না। বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনে কেউ খবর দেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানান। তবে স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইম-এর মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন উপ-পরিচালক লে. এম মোহতাসিম বিল্লাহ শাকিল এ ব্যাপারে ‘তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে’ বলে জানিয়েছেন।

এর আগেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে টেকনাফ পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার নুরুল বশর মিজ্জির ছেলে মো: রফিকের ফিশিং ট্রলারসহ আরো তিনটি ট্রলার আটকে রাখে। তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মাছ কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয় একই পয়েন্ট থেকে।

ভয়েসটিভি/এমএম 

You may also like