তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ১৪৮ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে শুক্রবার মিরপুরে ৪৩.২ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পেসারদের স্পেল কোনোমতো সামলে উঠলেও স্পিনে ধসে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এদিন রুবেলের পরিবর্তে ইনিংস শুরু করেন মোস্তাফিজ। আগের দিন এই পিচে ভেতরের দিকে সুইংয়ে চোখ জুড়িয়েছিলেন। এদিন গোড়াপত্তন করতে এসে শুরু থেকে সহজাত অ্যাঙ্গেল পান। বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বলে দারুণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন। দ্বিতীয় ওভারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে একটা ভেতরের দিকে সুইং করান। অল্পের জন্য বেঁচে যান অভিষিক্ত ওতলি।
সাফল্য পান পঞ্চম ওভারে। স্টাম্পে পিচ করে একটু ভেতরে ঢোকে বল। বাড়তি একটু লাফিয়ে আমব্রিসের ব্যাটের কানায় লেগে বল উড়ে যায় গালিতে। দেখার মতো ক্যাচ নেন মিরাজ। ১৫ বলে ৬ করে ফেরেন আমব্রিস।
মিরাজ দুইজনকে ফেরান ১৪তম ওভারে। ঠিক পরের ওভারের শেষ ডেলিভারিতে সাকিব ফেরান আরেকজনকে। পরে যারা এসেছেন তারাও দাঁড়াতে পারেননি।
আগের ম্যাচে ৭.২ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেয়া সাকিব এদিন ২ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৩০ রান দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
মোস্তাফিজের প্রথম চার ওভারের দুই ওভারই মেডেন। বাকি দুই ওভারে দুই রান দেন! দ্বিতীয় স্পেলে আর বল করতে আসেন ৮ উইকেট পড়ার পর। এই ওভারেও দেন এক রান।
ওয়েস্টে ইন্ডিজের সবচেয়ে বেশি রান এসেছে নবম জুটিতে। জোসেফ এবং পাওয়েল ৪৭ বলে ৩২ রান তোলেন। এই জুটি ভাঙতে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেন তামিম।
৩৮তম ওভারে ফের মোস্তাফিজকে আক্রমণে এনে শর্টগালিতে ফিল্ডার রাখেন। হালকা বেরিয়ে যাওয়া বলে সেখানেই ক্যাচ দেন জোসেফ। ২১ বলে ১৭ করে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
মিরাজ ৯.৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। রুবেল ৬ ওভারে ২০ রান দিয়ে উইকেট বের করতে পারেননি।
অভিষেকে তিন উইকেট নেয়া হাসান ৭ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ