Home বিশ্ব অভিবাসনসহ বিভিন্ন নীতি পরিবর্তনে নির্বাহী আদেশ দিতে পারে বাইডেন

অভিবাসনসহ বিভিন্ন নীতি পরিবর্তনে নির্বাহী আদেশ দিতে পারে বাইডেন

by Newsroom

হোয়াইট হাউজে অভিষেকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিদ্যমান অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করবেন জো বাইডেন। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে দেশটির প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে আইনি মর্যাদা বা নাগরিকত্ব দেয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

অভিবাসন ছাড়াও আবাসন ও শিক্ষা ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের জন্যেও আদেশ দিতে পারেন তিনি।

১৬ জানুয়ারি শনিবার বাইডেন প্রশাসনের সম্ভব্য চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা, আল জাজিরা ও এপি নিউজ।

রন ক্লেইন জানান, জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত কতগুলো সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন। তিনি ট্রাম্পের কথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেয়ার ঘোষণা দেবেন। সরকারি অফিসে এবং বিভিন্ন রাজ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করবেন।

শিক্ষার্থীদের ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো এবং করোনা সংকটে জর্জরিত বিশাল জনগোষ্ঠীকে সহায়তার মতো বিষয়গুলোও নতুন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে বলে জানান রন ক্লেইন।

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কিছু দিন পরই সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে সেটি মুসলিম নিষেধাজ্ঞা হিসেবে পরিচিত হয়।

তবে গত নির্বাচনের আগেই বাইডেন ঘোষণা দেন, ক্ষমতায় এলে হোয়াইট হাউজে তার প্রথম দিনই হবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। এখন বাইডেন নির্বাচিত হওয়ায় এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এখন বাইডেন প্রশাসন চাইলে খুব সহজেই নির্বাহী আদেশে ওই সিদ্ধান্ত উল্টো দিতে পারে। তবে কনজারভেটিভ পার্টি এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

এদিকে  জো বাইডেনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এপি নিউজ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করা লাখ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের পথ সুগম করে দেবে। সে লক্ষ্যে প্রেসিডেন্টের প্রথম অফিসের দিনে অভিবাসনের নিয়ম বদলাতে নতুন নির্বাহী আদেশ দেবেন।

জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে তিনি করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি এ বিষয়ে কত দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেননি।

তবে বাইডেনের এ পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পূর্ণ উল্টো। কারণ ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প।

বাইডেনের এই নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে ব্রিফ করা জাতীয় ইমিগ্রেশন আইন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মেরিলেনা হিনকাপি বলেন, এটি ট্রাম্পের অভিবাসীবিরোধী এজেন্ডার বিপরীতে সত্যিই এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেবে এটি।

যদি সফল হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ অভিবাসীকে সাধারণ ক্ষমার আদেশ দেয়ার পর এ আইনটি হবে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষদের মর্যাদা দেয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। তবে ২০০৭ ও ২০১৩ সালে ব্যর্থ হয় অভিবাসন নীতি বদলের আইনি প্রচেষ্টা।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like