Home সারাদেশ বাজারে আসছে শেরপুরের তিন লাখ মেট্রিক টন সবজি

বাজারে আসছে শেরপুরের তিন লাখ মেট্রিক টন সবজি

by Newsroom
বাজারে আসছে শেরপুরের

শীত মৌসুমে সবজি উৎপাদন করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে শেরপুরের চাষিরা। তারা আগাম ফসল ফলিয়ে বাড়তি দাম পাওয়ার চেষ্টা করেন সর্বদা। কিন্তু এবার কয়েক দফার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে নানা বাধা পেরিয়ে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে নিরন্তর পরিশ্রম করছেন চাষিরা।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে দেশের বাজারগুলোতে যাবে এই জেলার প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন সবজি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এবার রবি মৌসুমে শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীর আট হাজার ৫৬২ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে বেগুন, টমেটো, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, পটল, বরবটি, শসা, ঝিঙ্গা, ডাটা শাক, গোল আলু, কাকরোল, গাজর, লালশাক, চিচিঙ্গা, পুঁইশাক, গিমাকলমি, পালংশাক, ধনিয়া পাতা, ক্ষিরা, করলা, মটরশুটি, পেঁপে, ধুন্দল, সাজিনা, কচু, গাছ আলু, ওল, কাঁচা ও শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি।

শ্রীবরদীর চৈতাজানি গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম ও উমেদ আলী জানান, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ নানা জেলায় সরবরাহ হতো। কিন্তু বন্যায় সবজি চাষের জন্যে প্রস্তুত করা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বন্যা পরে পোকা আর ছত্রাকের আক্রমণ করে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতকালীন সবজি সরবরাহে তারা ব্যর্থ হন। এতে স্থানীয়দের নির্ভর করতে হয় জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার গারো পাহাড়ে উৎপাদিত সবজির উপর।

সদর উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার কারণে তারা পিছিয়ে পড়লেও উৎপাদন লক্ষমাত্রা ঠিক রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এবার তারা ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, শশা, করলা, শিম, চিচিঙ্গা, বরবরটি, বেগুনসহ ৩১ প্রকারের শাক সবজি বাজারজাত করতে পারবেন।

অন্যদিকে স্থানীয় পাইকার রজব আলী জানান, হঠাৎ করে সবজির বাজার চড়া হয়ে যাওয়ায় তিনি ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আরেক পাইকার মজিবর মিয়া জানান, প্রতি বছর শীতকালীন সবজি বিক্রি করে তার মোটামুটি ভালই লাভ হতো। কিন্তু এবার তার এক লাখ ১৭ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। বন্যার কারণে সবজি সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না থাকায় এই ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ওই সময়ে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। এবার বন্যার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই সবজি চাষ বাদ দিয়ে সরিষা, ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

আরও পড়ুন : আজই প্রকাশ হচ্ছে ৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like