স্বাস্থ্য ডেস্ক : বাতাসের মাধ্যমে করোনা ৮ থেকে ১৩ ফুট পর্যন্ত দূরে ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করলেন ভারতের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস-এর গবেষকরা।
করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ একাধিক স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়ার ফলে ড্রপলেট বাতাসে ভেসে গিয়ে অন্যদের সংক্রমণ ঘটায়। হাঁচি-কাশি কিংব কথা বলার সময়ও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।
বেঙ্গালুরুর গবেষকরা বাতাসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি-প্রকৃতি বুঝতে একটি এরইমধ্যে একটি মডেল তৈরি করেছেন। মডেলে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে বের হওয়া ড্রপলেটের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে বের হওয়া ড্রপলেট।
কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শ্বেতপ্রভ চৌধুরী জানিয়েছেন, পরীক্ষায় দেখা হয়েছে বাতাসে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে এই ড্রপলেট এবং কতদূর তারা ছড়িয়ে যেতে পারে; সেই সঙ্গে কেমন আকৃতি নিয়ে কত সময় তারা বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে সেটাও দেখা হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ড্রপলেট টিকে থাকা এবং সফর সময় অনেকটাই নির্ভর করে বাতাসের গতি, কম্পন ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয়ের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অভিষেক সাহা জানান, বাতাসের গতি না থাকলে সাধারণ অবস্থায় প্রতিটি ড্রপলেট বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগে ৮ থেকে ১৩ ফিট পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে।
এই গবেষণার পর পরিষ্কার হয়েছে যে, সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব ছয় ফিটের চেয়ে বেশি রাখা জরুরি। এছাড়া সবচেয়ে দূর পর্যন্ত উড়ে যাওয়া ড্রপলেটের আকার দেখা গেছে ১৮-৫০ মাইক্রোন। এ কারণে সংক্রমণ রুখতে মাস্ক অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
সম্পাদনা : দেলোয়ার
1 comment
[…] […]
Comments are closed.