নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয়পক্ষের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা ১৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে দুু পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে নিজের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এতে অন্তত তার ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন। কোনো নেতাকর্মী মারা গেলে তার দায়-দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিতে হবে বলে জানান মির্জা কাদের। পুলিশের সহযোগিতায় তার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা কাদের।
ভয়েস টিভি/এসএফ