ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনকেই খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত। ষোড়শ শতকে নির্মিত ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলার ঘটনার ২৮ বছর পর আজ এই রায় দেন উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌর আদালত। মামলার রায় পড়েছেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির।
৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার এ রায় ঘোষণা করে আদালত বলেছেন, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাটি পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয়।
অভিযুক্তরা মন্দির ভাঙায় বাধা দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। আজ রায় ঘোষণার পরই অবসর নেয়ার কথা রয়েছে বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদবের।
আদালত শুরুতে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যে ১৭ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। মামলায় অভিযুক্ত জীবিত মোট ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসেননি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী, বিনয় কাটিহারসহ দু’জন। তবে রায় দেয়ার সময় ভার্চুয়ালি তারা আদালতে যুক্ত ছিলেন।
অভিযুক্তরা মন্দির ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানিতে যুক্ত ছিল, এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ না থাকায় বিচারক সবাইকে খালাস দিতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিচারক জানান, মসজিদ ভাঙায় অভিযুক্তদের কোনো ভূমিকা ছিল না। উন্মত্ত লোকজন মসজিদ ভেঙেছে আর অভিযুক্তরা তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
অভিযুক্তদের ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ বিকৃত করা হয়েছিল, বিচারক এমন মন্তব্যও করেছেন বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে ফেলে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সমর্থকেরা। এর আগে এল কে আদভানির নেতৃত্বে রথযাত্রা হয় ভারতজুড়ে।
ভয়েস টিভি/এসএফ