Home অপরাধ স্ত্রী হত্যা মামলার সাবেক এসপি বাবুল আকতারকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ

স্ত্রী হত্যা মামলার সাবেক এসপি বাবুল আকতারকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ

by Shohag Ferdaus
বাবুল

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। এ হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ মে সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। আলোচিত এই মামলায় বাবুল আকতারের জিজ্ঞাসাবাদের কথা নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।

বনজ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাদী নিজেই চট্টগ্রামে গিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা কাজ করছি, বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এর আগে গতকাল পিবিআইয়ের ঢাকা অফিসে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন কর্মকর্তারা। মোশাররফ হোসেন মেয়ে হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছিলেন।

বাবুল আক্তারের শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবুল আকতারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ তাদের ফোন করেছিলেন। বাবুল আক্তারের বর্তমান স্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, বাবুল আক্তার গতকাল থেকে বাড়ি ফেরেননি।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। ওই সময় পুলিশ সুপার বাবুল আকতার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মিতু হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়।

বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করতে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। গোয়েন্দা বিভাগ এর আগে দুবার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।

মিতু হত্যার পর বাবুল আকতার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। কিছু দিনের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like