রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে বালিশকাণ্ডে দুর্নীতির মামলার তদন্ত কার্যক্রম ৬ মাসের মধ্যে শেষের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ১৯ অক্টোবর সোমবার মামলার অন্যতম আসামি প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বরখাস্ত) শফিকুল ইসলামের জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালত শফিকুলকে তিন মামলায় জামিন না দিয়ে এ বিষয়ে এর আগে দেয়া রুল ৬ মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখে। একই সঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে মামলার তদন্তকাজ শেষ করে বিচারিক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। এর আগে গত ১৭ আগস্ট শফিকুলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, জামিন আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা।
অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান জানান, এ ঘটনায় তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন শফিকুল। আদালত তিনটিতে রুল দিয়েছিল। আজ (সোমবার) হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে রুল ছয় মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাগুলোর তদন্তকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে হাইকোর্ট। দুদককে হাইকোর্টের এ আদেশটি জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গেলো বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রীনসিটি আবাসন পল্লীর একটি ভবনের আসবাব, বালিশসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম দুর্নীতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে একেকটি বালিশের দাম দেখানো হয় ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। একেকটি বালিশ ভবনে তুলতে খরচ দেখানো হয় ৭৬০ টাকা করে। এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
আলোচিত এ ঘটনায় দুদকের পক্ষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় মামলা দায়ের হয়। প্রকল্পের ১৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ