বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নুসরাতের ঘর ভাঙার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। অবশেষে তা সামনে এসেছে। স্বামী নিখিল জৈন স্ত্রী নুসরাত জাহানের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নুসরাত।
জানতে চাইলে এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি নিখিল। যা বলার তিনি পরে বলবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নিখিলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন নুসরাত। তবে তাতে কোনো দিন বাঁধা দেননি নিখিল। যশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো, এক সঙ্গে রাজস্থানে অজমেরে ছুটি কাটাতে যাওয়াসহ কোনো কিছু নিয়েই কখনো মুখ খোলেননি নিখিল। এমনকী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নুসরাত-বিরোধী পোস্ট দেননি তিনি।
বরং ভালবাসা দিবসের দিন আকারে ইঙ্গিতে বলেছিলেন, নুসরাত বদলে গেলেও তিনি একই রকম আছেন। কিন্তু অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন।
মনে করা হচ্ছে, বিচ্ছেদের পর নুসরাত মোটা টাকা খোরপোষ দাবি করবেন। কারণ তাঁর অতীতের সম্পর্কেও একই রকম ইতিহাস জানা যায়। বিয়ে না করলেও, বিচ্ছেদের সময় প্রেমিকদের সঙ্গে অনেক টাকার আদান প্রদান হয়েছিল।
তবে ইনস্টাগ্রাম বলছে, নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা থাকলেও, তাঁর বোন নুজহত জাহানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন নিখিল। অন্যদিকে যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরাতের উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠতা নজর এড়ায়নি কারোরই।
‘এস ও এস কলকাতা’র প্রিমিয়ারে স্বামী নিখিলকে সঙ্গে করে নিয়ে আসলেও সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘ডিকশনারি’র প্রিমিয়ারে নুসরাতের পাশে উপস্থিত ছিলেন যশ। এছাড়াও রাজস্থানের রোড ট্রিপ, আজমির শরীফ থেকে যশরতের এক সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পূজা দেয়া, নজর এড়ায়নি কিছুই। তা হলে কি এই বিচ্ছেদ আরও গাঢ় করবে ‘যশরত’র সম্পর্কও? এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
এদিকে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন নুসরাত জাহান। ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, আমি সবাইকে জানাতে চাই আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিটালে একটি সংবাদ ঘোরাফেরা করছে, সেটা সম্পূর্ণরূপে ভুল এবং ভিত্তিহীন। মিডিয়ার উচিত কোনও খবর প্রকাশের আগে সঠিকভাবে তথ্য অনুসন্ধান করা। ফেক নিউজের জোয়ারে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন : ভেঙ্গে যাচ্ছে অভিনেত্রী ও তৃণমূল এমপি নুসরাতের সংসার
ভয়েস টিভি/এমএইচ