Home বিনোদন মিমের প্রেমকাহিনি যেন সিনেমাকেও হার মানায়

মিমের প্রেমকাহিনি যেন সিনেমাকেও হার মানায়

by Imtiaz Ahmed

ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি হাসির মেয়ে বিদ্যা সিনহা মিম। সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি দারুণ অ্যাকটিভ। সেখানে শেয়ার করেন নিজের ভিবিন্ন অনুভূতি ও সাহসী খোলামেলা ছবি। তার এসব ছবি অনুরাগীদের হৃদয়ে হিল্লোল তোলে। এ সময়ের অনেক যুবকই তার প্রেমে পাগল। তবে সম্প্রতি তার জন্মদিনে বাগদান সম্পন্ন করে লাখো যুবকের মন ভেঙেছেন।

মিম জানান, হঠাৎ করেই বাগদান নয়, দীর্ঘদিন তারা প্রেম করেছেন। এমনকি লুকিয়ে দেখাও করেছেন। বিদ্যা সিনহা মিমের প্রেমকাহিনি যেন সিনেমাকেও হার মানায়। সেসব নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

মিম জানান, ফেসবুকে বন্ধুদের একটি গ্রুপ ছিল। একদিন কাছের এক বান্ধবী বলে, একটা ছেলে আছে কথা বল, ফ্রেন্ডশিপ কর। তখন আমি ভাবলাম আমার তো কথা বলার মানুষ নেই।

আমরা আলাদা গ্রুপ খুলে মজা করতাম। আমরা ভালো বন্ধু হতে থাকি। সেই ছেলেটির নাম সনি পোদ্দার। ছেলেটিকে অন্যদের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়। সেই ছেলেটিই ৬ মাস পরে প্রেমের প্রস্তাব দেন। ফান করতে গিয়েই প্রেম হয়ে হয়ে যায়।

মিম জানান, সে ছিল বিনয়ী, লক্ষ্মী ছেলে। বোঝাপড়া ভালো ছিল। আমার কিছু মোমেন্টস ছিল আপসেট থাকতাম, লক্ষ করতাম সেই সময় সে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করত, মন ভালো করে দিত। এ ছাড়া আমার কাজ নিয়ে খুবই সাপোর্ট দিত। তার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগতে শুরু করে।

প্রথম আমরা গ্লোরিয়া জিনসে দেখা করি। সেদিন আমরা ম্যাচিং করে পোশাক পরেছিলাম।

মিম বলেন, প্রস্তাব পাওয়ার পরে কী বলব বুঝতে ছিলাম না। কিছুদিন সময় নিই। চিন্তা করে মনে হয়, তার সঙ্গে সারা জীবন কাটানো যায়। পরে হ্যাঁ বলে দিই।

বিদ্যা সিনহা মিম আরও বলেন, প্রেম শুরুর পর আমি মাকে ভাসা ভাসা জানিয়েছিলাম। মা তখন ডিফারেন্ট অনুভূতি জানিয়েছিলেন। পরে মাকে উল্টো বোঝানোর চেষ্টা করতাম, সনির সঙ্গে কথা বলি না।

মায়ের কাছে সম্পর্কের কথা লুকিয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্ক চলছিল। পাশাপাশি চেষ্টা করছিলাম মাকে ম্যানেজ করতে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের শেষের দিকে মাকে রাজি করতে পারি। তার আগে আমার বোন, কাছের বন্ধু ও ফেরদৌস ভাই জানতেন।

মিম জানান, মা রাজি না থাকায় আমাদের খুবই কম দেখা হয়েছে। শুধু ফোনে কথা হতো। তবে অনলাইনেই বেশি কথা হতো। এমনিতে এক-দুই মাসে এক বা দুবার দেখা হতো। শুক্রবার জিমে বা পারলারে যাওয়ার সময় বড়জোর ৩০ মিনিট কথা হতো। তখন আমরা নিকেতনে থাকতাম।

সময় ঠিক করে বারান্দায় দাঁড়াতাম। ও নিচে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখত। আমি ওপর থেকে ফোনে কথা বলতাম। স্কুল–কলেজের ছেলেমেয়েদের মতো আমি জানালার সামনে দাঁড়াতাম। ও আমাকে দেখত।

একজন সেলিব্রিটি হিসেবে এভাবে দেখা করার কথা কেউ চিন্তাই করতে পারবে না। উইয়ার্ড সিচুয়েশন! আমার পারসোনাল লাইফটা ছিল এমন। দেখা করতেও আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

মিম বলেন, আমার এক জন্মদিনে কেক, গলার সুন্দর একটা সেট দিয়েছিল আর পিংক কালারের অনেকগুলো ফুল দিয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই গিফটগুলো ১২টার সময় আমার এক ভাই নিয়ে এসেছিল।

শুধু আমিই জানতাম সনি গিফটগুলো পাঠিয়েছে। তখন তো মায়ের কাছে প্রেমের বিষয়টা গোপন রাখতে হয়েছিল। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি ওকে লুকিয়ে উপহার দিতাম। আমি কাজ করলেও আমার পেমেন্ট কখনো আমি ধরি না। পেমেন্ট মায়ের হাতে দিতে বলি।

কিন্তু প্রেমে পড়ার পর ওর যখন জন্মদিন আসত বা বিশেষ দিনে উপহার দিতাম, তখন আমার পেমেন্ট থেকে আগেই কিছু টাকা লুকিয়ে রেখে বাকি টাকা মাকে দিতাম। এভাবে টাকা জমিয়ে উপহার দিতাম।

ভয়েস টিভি/আইএ

 

You may also like