Home সারাদেশ ফরিদপুর ছাত্রলীগের সভাপতি বিবাহিত, বিতর্কিতরা কমিটিতে

ফরিদপুর ছাত্রলীগের সভাপতি বিবাহিত, বিতর্কিতরা কমিটিতে

by Shohag Ferdaus
সভাপতি

সম্প্রতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানকে সভাপতি ও ফাইম আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যে আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ঘোষিত এ কমিটির সভাপতি বিবাহিত বলে অভিযোগ করেছেন দলীয় একাংশের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সভাপতির পরিবারের সদস্যরা বিনএপির রাজনীতিতে যুক্ত বলেও তাদের অভিযোগ।

তাদের আরও অভিযোগ, অনুমোদিত ২৫ সদস্যের কমিটিতে দুই সহ-সভাপতিসহ তিনজন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত।

২৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ ইমতিয়াজ ও প্রচার সম্পাদক সাজিদুল ইসলামসহ ১০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী লিখিত অভিযোগে এ দাবি করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মনোনীত তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বিবাহিত ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তার আপন ভগ্নিপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি। তার বাবা ফরিদপুর জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয় তামজিদুলের পরিবারের কেউ অতীতে আওয়ামী লীগের কর্মী কিংবা সমর্থক ছিল না, বরং বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক ছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এছাড়া কমিটিতে স্থান পাওয়া দুই জন সহসভাপতি ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামি। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত বর্তমান কমিটির ওপর ফরিদপুরের ছাত্রলীগের কর্মীরা আস্থা সংকটে ভুগছে।

ওই কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও আরও নয়জন সহসভাপতি, সাত জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন।

ঘোষিত এই আংশিক কমিটি সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রস্তাবনা ও মতামত চাওয়া হয়। কিন্তু এই কমিটির ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে।

‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের পাশ কাটিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের মতামত চাওয়াটা তাদের একান্ত উচিত ছিলো।

ছাত্রলীগের নব মনোনীত সভাপতি বিবাহিত একাংশের এ অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, অনুসন্ধানে যদি বিবাহিত প্রমাণ মেলে তাহলে গঠণতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাই।

তার বাড়িতে হামলার আসামিদের কমিটিতে স্থান দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের কমিটিতে রাখা হবে সংগঠনের জন্য কলঙ্কজনক। এ ধরনের অভিযুক্তদের নিয়ে কমিটি করা সমীচীন নয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এ প্রতিবেদককে বলেন, রিয়ানের বিবাহিত হওয়া সম্পর্কিত অভিযোগটি সত্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলা মামলার তিনজন অভিযুক্তের নাম কমিটিতে রয়েছে। তাদের নাম বিভিন্ন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসেছে, এখনো কোনো প্রমাণ মেলেনি। তারা দোষী প্রমাণিত হলে কমিটি থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে।

সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী বলেন, তাকে বিবাহিত বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়।

‘আমার বাবা রিয়াদুল রশিদ চৌধুরী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়’-দাবি করে তিনি বলেন, তবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগপন্থী। তার ভগ্নিপতি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আমার বোনের সঙ্গে যখন তার বিয়ে হয় তখন অনু জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিল না।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like