Home বিশ্ব পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে ছেড়ে দিল ভারত

পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে ছেড়ে দিল ভারত

by Newsroom
বিমানকে

প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার জন্যে তাঁর বিশেষ বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারত।

যদিও ২০১৯ সালে বিদেশ সফরের জন্যে নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের পথে হাঁটেনি ভারত। আন্তর্জাতিক নিয়ম বজায় রেখে ইমরানের বিমানকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে আমেরিকা এবং সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে সময় তাঁর বিমান যাওয়ার জন্যে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ইসলামাবাদের কাছে। কিন্তু কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে এই অভিযোগে মোদীর বিমানকে অনুমতি দেয়নি দেশটি। বিষয়টি সে সময় আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থায় (সিভিল অ্যাভিয়েশন সোসাইটি) জানিয়েছিল ভারত।

সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের বিমান যাতায়াতের জন্যে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থার নিয়ম মেনে অনুমতি দেয় বিভিন্ন দেশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান।

সফরে বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ইমরানের বক্তৃতা দেয়ার কথা জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিদেশ দফতর। কিন্তু পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিটি বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্ট।

পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা অভয়বর্ধন বলেন, বিশেষ কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টে বক্তৃতা বাতিল করা হয়েছে।

সরকারিভাবে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণেই ইমরানের বক্তৃতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কিন্তু কলম্বোর রাজনৈতিক মহলের খবর, পার্লামেন্টের বক্তৃতায় ইমরান কাশ্মীর সমস্যার প্রসঙ্গ তুলতে পারেন। সেটা হলে ভারত চটে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজা পক্ষের সরকার।

পার্লামেন্টের বক্তৃতা বাতিল হলেও গোতাবায়া, মাহিন্দাসহ রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কর্মসূচি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে।

গত সপ্তাহেই দিল্লি সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন গোতাবায়ার দাদা তথা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাস দমনে দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ নিবিড় করার কথা বলা হয়েছিল। গত নভেম্বরে ‘চিন ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই কলম্বোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিল নয়াদিল্লি।

এরই মধ্যে ভারতের তথা কথিত ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কায় ভারতেরই আরও এক প্রতিবেশী তথা চিনের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সফর কূটনৈতিকভাবে বেশ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে না বাংলাদেশ

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like