করোনা সংক্রমণের কারণে এবার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব করা হলেও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যরা।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১৭ অক্টোবর উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক ভার্চুয়াল সভা হয়। সেখানেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা ছাড়াই কেবল এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি বিবেচনা করা যায় কি না বা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যায় কি না এ ধরনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ১৭ অক্টোবরের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আজকের সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একজন বলেন, সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন উর রশিদ জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে আগের মতোই পরীক্ষা ছাড়া কেবল এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একইভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে তিনি প্রস্তাব দেন। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
যেহেতু করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে কি না, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়। কারণ, এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করবেন। ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করবেন। যেখানে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়নি, একই সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতেও দেখা দেবে। এ অবস্থায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় আলোচনা করে ঠিক হবে।
আরও পড়ুন: এবার ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
ভয়েস টিভি/এসএফ