Home জাতীয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড: একযুগেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: একযুগেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলা

by Shohag Ferdaus
বিস্ফোরক

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিডিআরের বিপদগামী সদস্যরা।

এ ঘটানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলাটির বিচার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি আজও নিষ্পত্তি হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের এক হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষী দিয়েছেন ১৮৫ জন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লালবাগ থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয় একটি হত্যা মামলা, আর অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা। পরে মামলা দুইটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।

হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২৩ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০ জনে।

এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

জানা গেছে, ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা ময়দানে স্থাপিত আদালতে এ মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। এ মামলায় আসামি ৮৩৪ জনের মধ্যে একজন সিভিলিয়ান, বাকি আসামিরা তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। তবে আসামিদের মধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন। জীবিত অছেন ৭৯০ জন। পলাতক আছেন ২০ জন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, এ মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘১২ বছর হয়ে গেল এখনও মামলাটির বিচার চলছে। কবে যে বিচার শেষ হবে বলা মুশকিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর এ মামলার এজাহারভুক্ত ৭৮৩ নম্বর আসামি আতিকুল ইসলামকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। পরবর্তীতে আমরা জামিননামা দাখিলও করি। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আবারও জামিন স্থগিতের আবেদন করলে হাইকোর্ট ফের তার জামিন স্থগিত করে দেন। ’

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এই মামলায় সর্বমোট ১৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আমরা আশা করি, চলতি বছরেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় ঘোষণা করতে পারবো।’

পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘটনার সময় পুরো পিলখানায় বিডিআরের সদস্য ছিলেন ছয় হাজার ৯০৩ জন। দরবার হলে ৯৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ বিডিআরের দুই হাজার ৪৮৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিদ্রোহের সময় দুই হাজার ৪১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বিদ্রোহীরা গুলি করেছিল। এর মধ্যে এক হাজার ৮৪৫টি রাইফেল, ৫২৮টি সাব মেশিন গান, ২৩টি পিস্তল ও ১৮টি এলএমজি ছিল।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like