লালমনিরহাটে ত্রিদেশিয়া বাণিজ্য এলাকা বুড়িমারী স্থলবন্দরের সাথে সারাদেশের সড়ক পথের যোগাযোগের একমাত্র পথই লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দরে পরিনত হয়েছে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার সাথে জেলা সদরের এবং ত্রিদেশিয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত বুড়িমারী স্থলবন্দ থেকে সারাদেশের সড়ক পথে যোগাযোগ সড়ক লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক। মহাসড়কটি ফোর লেনে উন্নীতিকরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ফলে সংস্কারের অভাবে মহাসড়কটি বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
এই খানা খন্দরের মহাসড়ক হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার অতিরিক্ত পন্যবাহি ট্রাক চলাচল করছে। দুর্ঘটনাও নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপারে পরিনত হচ্ছে। অনেকের প্রান যাচ্ছে মহাসড়কে। পঙ্গুত্ব বরন করছেন হাজারো মানুষ।
এসব গর্ত মেরামত করতে প্রায় প্রতি মাসে মেরামতের কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তবে তা মেরামতে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করায় এবং অতিরিক্ত পন্যবাহি ট্রাক যাতায়ত করায় নিম্নমানের এসব ইট ভেঙে ধুলো ও কাদার সৃষ্টি করছে। ধুলোর কারনে পথচারী ও মহাসড়কের পাশ্ববর্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে বসবাসের অনুপযুগি হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলাবাসী।
লালমনিরহাট জেলা চেম্বার ও কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, মহাসড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যাসায়ীরা। যোগাযোগ সমস্যার কারনে বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিচ্ছে। দ্রুত মহাসড়কটি ফোরলেনে উন্নতি করার জোর দাবি জানান তিনি।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম বলেন, ফোরলেনে উন্নতি করতে এ মহাসড়কটি সংস্কারের প্রকল্প নেয়া হয়নি। গর্ত ও খানা খন্দরের স্থানে মেরামত করা হচ্ছে। তবে ফোরলেনের জন্য প্রকল্পের পিডি সাম্প্রতি সময় মহাসড়কটি পরিদর্শন করেছেন। খুব দ্রুত ফোরলেন প্রকল্প অনুমোদন পাবে বলেও জানান তিনি।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ