শুরুতে রাজি থাকলেও শেষে এসে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিকে ‘না’ বলে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় দেশের বাকি তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যাচ্ছে না তারা।
২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা না করে দেয়ায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এই গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে। পরীক্ষার সময় পরে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বুয়েট গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষও এই সিদ্ধান্ত নিজেদের মতো করে জানিয়ে দেবে।’
এ বিষয়ে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সেটি লিখিত আকারে জানানো হবে। বুয়েটের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটিতে স্বাক্ষর করলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ইউজিসির সঙ্গে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুসারে, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বুয়েট থেকে করতে হবে এবং পরীক্ষার কেন্দ্র শুধু বুয়েটেই হবে। কমিটিতে অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারিত্ব থাকবে। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি প্রণয়ন করবে।
বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের এ প্রস্তাবনায় দ্বিমত পোষণ করে জানায়, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামের ইংরেজি বানানের আদ্যক্ষর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান হবেন। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষা চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ দুটি বিষয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল ইউজিসি। ১ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বুয়েট এই আয়োজনে আসবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: আটকে গেল ৪ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
ভয়েস টিভি/এসএফ