Home সারাদেশ বিবস্ত্র করে নির্যাতনের সময় স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল

বিবস্ত্র করে নির্যাতনের সময় স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল

by Shohag Ferdaus
স্কুলছাত্রীকে

‘কু’ প্রস্তাব ও মাদক ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওই গৃহবধূকে। এসময় তার স্বামীরও হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পরে আদালত ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

৫ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ ২২ ধারায় নির্যাতিত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আরও পড়ুন: বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ভিডিও অপসারণ ও নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ

জবানবন্দিতে নির্যাতিত গৃহবধূ জানান, তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। গত ২ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের ঘটনার আরও এক মাস পূর্বে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তারও আগে দাম্পত্য কলহের জেরে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মেয়ের বিয়ের পর তিনি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। এসময়ে দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক সম্পর্ক ও মাদক ব্যবসার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এসব প্রস্তাবে তিনি সাড়া না দেয়ায় দেলোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।

আরও পড়ুন: বিবস্ত্র করে নির্যাতন: দুই আসামিকে ৬ দিনের রিমান্ড

এরই মধ্যে তার মেয়ে তাকে অনুরোধ করে তারা স্বামী স্ত্রী দুইজনে যেনো বিরোধ মিটমাট করে এক সঙ্গে বসবাস করেন। তিনি মেয়ের অনুরোধে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিরোধ মীমাংসার জন্য। ওই দিন (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে তার স্বামী তাদের বাড়িতে আসেন। এর একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে আকস্মিক তাদের ওপর হামলা চালায়। একসময় হামলাকারীরা তার স্বামীকে বেঁধে রেখে ঘরের মধ্যে তাকে বিবস্ত্র করে বেদম মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করে। এসময় দুইজন পুরো ঘটনাটি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তবে তিনি ঘটনার সময় অন্ধকারে সবাইকে দেখতে পাননি।

এরপর হামলাকারীরা তাকে হুমকি দিয়ে যায়, এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে বা থানা পুলিশকে জানালে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে। ঘটনার পর অনেক দিন হামলাকারীরা তাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে জেলা শহর মাইজদীতে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এর মধ্যে তিনি গোপনে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

এরপরও হামলাকারী দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, সদস্য বাদল, কালাম তাকে ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকে। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় তারা তা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

রোববার ৪ অক্টোবর দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like