বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক উপস্থিতির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা দুর্নীতির হাওয়া ভবন খ্যাত ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিস বন্ধেরও দাবি জানান। ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের যোগ্য শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একাই অনেকগুলো বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন উপাচার্য। তিনি সার্বক্ষণিক ঢাকায় অবস্থান করায় বিভিন্ন সময় বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর নিতে হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ১৩০০ দিনের মধ্যে ১১০০ দিনই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন। ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিস থেকে তিনি একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে চলেছেন। অবৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করেছেন তিনি। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে তিনি সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছেন।
গত এক বছরের বেশি সময় ক্যাম্পাসে আসেনি উপাচার্য কলিমউল্লাহ। ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ করে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। তবে মূল প্রবেশ পথ ব্যবহার না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বেরোবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। বাসভবন ঘেরাও করে সাড়ে ৩ঘণ্টা অবস্থান করেও তার সাক্ষাৎ পাননি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের আসার খবর পেয়ে বাসভবনের পেছনের দরজা দিয়ে লুকিয়ে উপাচার্য ক্যাম্পাস ছেড়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
