বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কলা অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলীর বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। ৩ অক্টোবর শনিবার সংগঠনটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান ও সদস্য সচিব খায়রুল কবির সুমন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
এ বরখাস্তাদেশ সম্পূর্ণরূপে বিধিহীন, অনৈতিক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং ক্ষমতার অপব্যবহার উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন একের পর এক ক্ষমতার অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে যে আইনের দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করে চলেছে এ সাময়িক বরখাস্তাদেশ তারই ধারাবাহিকতা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এরূপ স্বেচ্ছাচারিতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পক্ষপাতমূলকভাবে কলা অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলীকে অন্যায়ভাবে এবং অপ্রযোজ্য আইনের অপব্যবহার করে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। নানা অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ষড়যন্ত্র প্রমাণ করে বর্তমান প্রশাসন আইনের দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করে চলেছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন- মোহাম্মদ আলীকে যেসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট এবং একটি দুষ্ট চক্রের উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ। আমরা তার বিরুদ্ধে গৃহীত সাময়িক বরখাস্তাদেশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। একই সঙ্গে সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারের দাবি করছি এবং ষড়যন্ত্রকারী ও আইনের দুঃশাসন প্রতিষ্ঠাকারী দুষ্টচক্রের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও তার এই হয়রানিমূলক বরখাস্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে এই অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ্য করে রেজিস্ট্রারকে লিখিত দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর।
গত ২৪ সেপ্টম্বর জনসংযোগ দফতরের একটি আলমারি প্রকৌশল দফতরে রাখার অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। সেই আলমারিতে গোপনীয় কাগজপত্র রাখা হয়েছে এবং সেসব অন্য দফতরে রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তিন দিন সময় দেয়া হয়। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক হয়নি উল্লেখ করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ভয়েস টিভি/এসএফ