Home সারাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে বেড়েছে বাল্যবিয়ে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে বেড়েছে বাল্যবিয়ে

by Newsroom
বেড়েছে বাল্যবিয়ে

করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রামে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিয়ে । এতে করে জেলায় বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তবে বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে সচেতনতা আর অর্থনৈতিক সংকটকেই দায়ী করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, জেলায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে। এসব নদ-নদীর চরে অসংখ্য ভূমিহীন মানুষের বসবাস রয়েছে। প্রাথমিকের গণ্ডি না পেরোতেই মেয়েদেরকে বিয়ে দেন এখানকার অভিভাবকরা।

চরাঞ্চল ছাড়াও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র একই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর পছন্দ মতো পাত্র পাওয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর বিল্ডিং বেটার ফর গার্লস প্রকল্পের জরিপ বলছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের আগষ্ট পর্যন্ত ৩৩ মাসে বাল্যবিয়ে হয়েছে দুই হাজার ৬০৩টি এবং বন্ধ হয়েছে ৯৬১টি।

এর মধ্যে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাল্যবিয়ে হয়েছে ৩৩৯টি এবং বন্ধ হয়েছে মাত্র ৭১টি। আর চলতি বছরের শুধু আগস্ট মাসেই ৪৭টি বাল্যবিয়ে হয়েছে এবং বন্ধ হয়েছে মাত্র ১১টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন আভিভাবক দাবি করেন, মেয়েদের জন্যে পরিবেশ ভালো নেই। বয়স বেশি হলেই শুনতে হয় বিভিন্ন ধরণের সমালোচনা। আর অল্প বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুক লাগে না। সহজেই ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বাল্যবিয়ে রোধে আরও কঠোর আইনের প্রয়োগসহ সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোরদার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জেলায় বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা  বাহিনী।

আরও পড়ুন- ‘বেড়েছে বাল্যবিয়ে : বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে সবচেয়ে বেশি’

এদিকে ইউনিসেফের নতুন হিসাব অনুযায়ী, দ্রুততর অগ্রগতির কারণে গত দশকে দুই কোটি পাঁচ লাখ বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ কোটির বেশি মেয়ের শিশু অবস্থায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভয়েস টিভি/ডিএইচ

You may also like