সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও লেবুর। তবে দাম কমেছে আলু ও সবজির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, গরু, খাসির মাংসসহ অন্য পণ্যের দাম।
২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে বাজারের এ চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শালগম ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ২০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ২০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতিটি লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।
হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। ২০ টাকা দাম বেড়ে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
এছাড়াও আদা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫-৬৮ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেলর লিটারের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
গত সপ্তাহের দামে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা।
প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি (কক) ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজু বলেন, একদিনের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম অনেক ওঠানামা করে। অনেক সময় বাজারে ক্রেতাই থাকেনা, তখন কম দামে সবজি বিক্রি করতে হয়। বাজারে কোন কিছু দাম বেড়ে গেলে সবাই তখন দাম বাড়া নিয়ে কথা বলে। দাম কম থাকলে তা নিয়ে কেউ কিছু বলে না। আমাদের এখন বেশির ভাগ সময় সবজি লসেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ