Home সারাদেশ বৈরী আবহাওয়ায় বিচ্ছিন্ন ভোলা ও হাতিয়া

বৈরী আবহাওয়ায় বিচ্ছিন্ন ভোলা ও হাতিয়া

by Shohag Ferdaus
ভোলা

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নদী উত্তাল থাকায় এবং বৈরী আবহাওয়ায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া এবং ভোলার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভয়েস টেলিভিশনের সঙ্গে নোয়াখালী ও ভোলা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

হাতিয়া

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

২৩ অক্টোবর শুক্রবার সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত মানতে হবে সবাইকে।

এদিকে সকাল থেকে হাতিয়ায় প্রচুর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছ। গ্রামের অনেক সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় হাতিয়া উপজেলায় ১৭৭টি সিপিপি ইউনিটে একটি করে সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, আমাদের ১৭৭টি ইউনিটে ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সব সময় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও জেলা সদরের সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভোলা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার সঙ্গে সকল রুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিটিএ।

২৩ অক্টোবর শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে ভোলা থেকে কোনো লঞ্চ, বরিশাল, পটুয়াখালী, লক্ষীপুর, আলেকজেন্ডার ও মনপুরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। একই সঙ্গে ভোলা থেকে বরিশাল ও লক্ষীপুরের ফেরি ছেড়ে যায়নি। এতে ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘাটেই নোঙর করে রাখা হয়েছে নৌ যানগুলো।

ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়া ও নৌ বন্ধরে ৪ নম্বর সংকেত থাকায় ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল রুটে ফেরি চলা বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ভোলা-লক্ষীপুর, ভোলা- বরিশাল, লালমোহন কালাইয়া, দৌলতখান-আলেকজেন্ডার ও তজুমদ্দিন-মনপুরা রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওইসব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে সকাল থেকেই পুরো জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তাল রয়েছে নদী।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like