পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্নীতি হয়। তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতির পরিমাণ বেশি।
১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমার কাছে যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা ( ডিপিপি) আসে সেগুলো পড়ি। আমার মনে হয়, ডিপিপির কেনাকাটায় মাঝে মাঝে টিমওয়ার্কে দুর্নীতি হয়। একজন নেয়, আরেকজনকে দিয়ে দেয়, সে আরেকজনকে দেয়, শুনেছিলাম।
তিনি বলেন, ডিপিপিতে বেশিরভাগ সময় দুর্বল দিকগুলো চোখে পড়ে। এটা শুধু আমার চোখে না, অন্য অনেকের চোখেই পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে দুয়েকবার কমেন্ট করেছেন। এই স্টাডি নিয়ে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকতে হবে। কে করবে বা করেছে, কাকে দিয়ে করানো হয়েছে, এ বিষয়গুলো পরিষ্কার থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা টেকনিক্যাল বিষয় দেখবে। আর ফাইনান্সিয়াল বিষয় আমরা দেখব। জনগণের টাকা খরচ করতে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা জরুরি। আজকের এ সভায় আমরা চা খাব কি খাব না সেটারও একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছি। আমার ধারণা, এই স্টাডির ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর দুর্বলতা আছে।
তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে আমাদের এতো বেশি নজর ছিল না। কিন্তু এখন সরকারের প্রায় ১৮ শ’র মতো প্রকল্প চলমান। যার ফলে এই স্টাডি নিয়ে আমাদের আরও ভাবতে হবে। এ জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য একটা ফরম্যাট বানাতে হবে। তবে ফরম্যাটটা অবশ্যই পরিকল্পনা কমিশনের হতে হবে। সব মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা কমিশন থেকে নিয়ে কাজ করাতে হবে।
কর্মশালায় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ